এনআইডি-সনদ-পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্মনিবন্ধনের তারিখ পরিবর্তন নয়
প্রকাশ 2023-02-09 14:14:49
ucb stock regular
সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) থেকে রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. রাশেদুল হাসান স্বাক্ষরিত জন্মসনদের মূল জন্মতারিখের পরিবর্তে পাবলিক পরীক্ষা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্মতারিখ পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ না করার সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব জেলা প্রশাসক ও সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ (সংশোধিত ২০১৩) অনুসরণে বাংলাদেশের নাগরিকদের দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হয়। এ আইন এবং এ আইনের অধীন প্রণীত বিধিতে শিশুর জন্মের পরপর এবং ব্যক্তির মৃত্যুর পরপর মৃত্যুর খবর রেজিস্ট্রারকে দেওয়া ও নিবন্ধন করানোর তাগিদ রয়েছে। শিশুর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদে লিখিত তারিখ তার প্রথম এবং আদি জন্মতারিখ এবং এ তারিখের ভিত্তিতেই তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি হয়ে থাকে।
কিন্তু পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে পাবলিক পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি, পাসপোর্ট করার সময় জন্ম নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত রেজিস্ট্রারকৃত তারিখের পরিবর্তে অন্য একটি জন্মতারিখ বসিয়ে পাবলিক পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন, পাবলিক পরীক্ষার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করা হয়।
LankaBangla securites single page
পরবর্তী সময়ে পাবলিক পরীক্ষার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের আদলে জন্মসনদ বিশেষত জন্মতারিখ সংশোধন করে দেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করা হয়। নিবন্ধক অফিস এসব আবেদন গ্রহণ, আপলোড এবং অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করে, যা সমীচীন নয়।
কোনো নিবন্ধক অফিস জন্মসনদের মূল জন্মতারিখ পরিবর্তন করে পাবলিক পরীক্ষা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট তৈরি করে জন্ম তারিখ বা জন্ম সাল পরিবর্তনের আবেদন যেন গ্রহণ, আপলোড এবং অনুমোদনের জন্য পাঠানো না হয় সে ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ধরনের আবেদন মোটেও অনুমোদনযোগ্য নয়। বিষয়টি অধিক্ষেত্রের সব নিবন্ধন অফিসকে জানিয়ে দিতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার জেনারেল রাশেদুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, অনেকেই এনআইডি, পাসপোর্ট করার সময় বলে তার জন্মনিবন্ধন হয়নি। পাবলিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রেও অনেক সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জন্মতারিখ বসানো হয়। পরে আমাদের কাছে এসে বলে ছোট ভুল হয়েছে, সে অনুযায়ী ঠিক করে দেয়ার অনুরোধ করে। সংশোধনের ক্ষেত্রে নাম ভুল হতে পারে বা টাইপিং মিসটেক হতে পারে। সেগুলো সংশোধন করে দেওয়া যেতে পারে। জন্মতারিখ নিয়েই মূলত আমাদের কনসার্ন।
তিনি বলেন, অনেকের জন্মসাল ১৯৮৫ হলে এসে বলে ১৯৮৯ করে দেন। এগুলো কি সম্ভব? তাই জন্মনিবন্ধন আগে হয়ে থাকলে পরবর্তীতে কোনো ধরনের বিকৃতি আমরা সংশোধন করবো না। জন্মনিবন্ধন বিকৃত করে পরে আবার এসে আমাদের কাছে কারেকশন চাইবে, সেটি আমরা দেবো না।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস